ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বলছে, তারা আরো দু’জন জঙ্গিকে আটক করেছে যারা রাজধানী জাকার্তায় মিয়ানমারের দূতাবাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিলো।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, আটক এই জঙ্গিরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এসব আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিলো।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধ করার দাবিতে গত শুক্রবার ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার মুসলমান বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভ হয়েছে জাকার্তায় মিয়ানমারের দূতাবাসের সামনেও।
ইন্দোনেশিয়ায় পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত সপ্তাহে আটক সন্দেহভাজন একজন বোমা প্রস্ততকারকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই দু’জনকে আটক করা হলো।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এই দু’জনের সম্পর্কে তথ্য পায় পুলিশ। পরে দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট তাদেরকে আটক করে।
তাদের একজনকে আচেহ এবং অন্যজনকে ব্যানটেন প্রদেশ থেকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আটক এই তিনজন জঙ্গিই ইন্দোনেশিয়ায় এমন একটি সংগঠনের সাথে জড়িত যারা তথাকথিত ইসলামিক স্টেটকে সমর্থন করছে।
বার্তা সংস্থা এপি বলছে, পুলিশের ওই মুখপাত্র বয় রাফলি আমার বলেছেন, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে এসব আক্রমণের মাধ্যমে তারা তার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন বলে তারা ধারণা করছেন।
জাকার্তায় মিয়ানমার দূতাবাস ছাড়াও তারা ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট, পুলিশ সদর দপ্তর, টেলিভিশন স্টেশনের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলো বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালেও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন প্রতিশোধ হিসেবে মিয়ানমার দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।
ওই পরিকল্পনার সাথে সাথে জড়িত থাকার দায়ে আদালত বহু জঙ্গিকে কারাদণ্ড দিয়েছে।
পাঠকের মতামত